তিতাস পরিষদের মাসিক সভায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলা
রিপোর্টারের নাম :
আপডেট সময়:
বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪
সময় 11 months আগে
১৫৬
টাইম ভিউ
কুমিল্লার তিতাস উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভায় হামলা চালিয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তিতাস উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ ও দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে কিলঘুষি দেওয়া হয়। পরে সভা পণ্ড হয়ে যায়।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল রাতেই কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সারওয়ার হোসেন ওরফে বাবু (৪২) ও তিতাস উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এ কে এম কামরুল হাসান ওরফে তুষারের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করে তিতাস থানায় মামলা করা হয়েছে।
মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা ১১টায় তিতাস উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সম্মেলনকক্ষে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা চলাকালে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সারওয়ার ও তিতাস উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুলের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ঢুকে পড়েন।
তাঁরা সভায় উপস্থিত তিতাস উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ ফকির, বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুন্নবী ও সাতানী ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক সরকারকে কিলঘুষি মারেন। পরে সভা পণ্ড হয়ে যায়।
এ ঘটনায় রাত ৮টা ১৫ মিনিটে সারওয়ারকে প্রধান আসামি করে ৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা হয়।
তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সভার সভাপতি পারভেজ হোসেন সরকার প্রথম আলোকে বলেন, সভা চলছে। হঠাৎ করে সারওয়ার কয়েকজনকে নিয়ে সভাস্থলে ঢুকে পড়েন।
এরপর হট্টগোল করেন। আমাদের এক ভাইস চেয়ারম্যান, দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে কিল-ঘুষি দেন। উপজেলা প্রশাসনে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় হামলাকারীরা। দরপত্রসহ নানা কাজের নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এই কারণে হামলা করে। আমরা এর বিচার চাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তিতাস থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খালেকুজ্জামান বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।