প্রতিদিন ডেস্ক:
নতুন বছরে গাজাবাসীর প্রত্যাশা ফিরবে। শান্তি ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২২ হাজার ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ৫৬ হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন গাজার অধিকাংশ ফিলিস্তিনি।
তিন মাস হলেও যুদ্ধ থামার দৃশ্যমান কোনো লক্ষণ নেই। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষের মতো গাজাবাসীও নতুন আশায় নববর্ষ বরণ করেছেন। তাদের প্রতাশ্যা একটাই—নতুন বছরে ফিলিস্তিনে শান্তি ফিরবে। পরিবার সঙ্গে নিয়ে নিরাপদে বসবাস করতে পারবেন। খবর রয়টার্সের।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের বাসিন্দা আবু আবদুল্লাহ আল-আঘা। ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার তরুণ ভাতিজি ও ভাতিজার প্রাণ গেছে। বাড়িঘরও মাটির সঙ্গে মিশে গেছে মধ্য বয়সী আবদুল্লাহর।
২০২৪ সালে আমি আমার বাড়ির ধ্বংসাবশেষে ফিরতে চাই। সেখানে একটা তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করতে চাই। আমি চাই আমাদের সন্তানরা যেন শান্তি ও নিরাপদে বসবাস করতে পারে, স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারে এবং শ্রমিকরা কাজে যাবে। তাদের আয়ের একটা ব্যবস্থা হবে।
ইসরায়েলি হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বিড়ালছানার সঙ্গে খেলতে খেলতে ১২ বছর বয়সী মুনা আল-সাওয়াফ বলেছে,
আমার আশা ২০২৪ সালে সব কিছু ঠিক হয়ে যায়। আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চাই। আমরা কাপড়-চোপড় পরব, আবার কাজ করব, আমাদের বাড়িঘরগুলো পুনরায় নির্মাণ করা হবে।