প্রতিদিন ডেস্ক :
শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম পরিচালনা করতে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদানের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমাতেও পটাশিয়ামের ভূমিকা রয়েছে। এর মধ্যে কোনও একটির পরিমাণ কমে গেলে প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
শীতের সময়ে ঠান্ডার ভয়ে অনেকে পানি কম খান, তাতে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। পর্যাপ্ত ঘুম হলেও যদি ক্লান্তি কাটতে না চায়, সেক্ষেত্রে পটাশিয়ামের ঘাটতি হচ্ছে কি না, তা পরীক্ষা করিয়ে দেখা যেতে পারে। হঠাৎ পায়ের পেশিতে টান ধরার লক্ষণও কিন্তু এই উপাদানের ঘাটতি থেকে হতে পারে।
১। কমলালেবু
ভিটামিন সি-এর ঘাটতি পূরণ করতে শীতে কমলালেবু খেয়েই থাকেন। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, পটাশিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো কমলালেবু। একটি কমলালেবুতে প্রায় ২৩০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে।
২। কলা
রোজ একটি করে কলা খেলেই পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। পুষ্টিবিদেরা বলেন, মাঝারি মাপের একটি কলায় ৪০০ থেকে ৪৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে। যা শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন করার জন্য যথেষ্ট।
৩। মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে যথেষ্ট পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে। মাঝারি মাপের একটি মিষ্টি আলুতে ৪০০ থেকে ৪৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে।
৪। অ্যাভোকাডো
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা পাউরুটির টোস্টের ওপর মাখনের বদলে অ্যাভোকাডো মাখিয়ে খেয়ে থাকেন। একটি মাঝারি মাপের অ্যাভোকাডোতে প্রায় ৭০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। নিয়মিত খেতে পারলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়িয়ে চলা যায়।
৫। পালং শাক
পুষ্টিবিদেরা বলেন, এক কাপ পালং শাক নিয়মিত খেতে পারলে শরীরে পটাশিয়ামের অভাব হবে না। প্রায় ৮০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে এই শাকে।