Logo
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
Title :
ময়মনসিংহে এক যুগপর ইসলামী ছাত্রশিবিবের বিক্ষোভ মিছিল ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের সাথে আশা’র মতবিনিময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটি গঠন নিয়ে সভা শেষে মারামারি, থানায় অভিযোগ ময়মনসিংহে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ৬০ শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত ময়মনসিংহে গারো সম্প্রদায়ের ‘খ্রীষ্টরাজ ওয়ানগালা রাজোৎসব’ উদযাপিত গোটা কুরআন আমাদের কর্মসূচি এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না- অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ময়মনসিংহে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড ময়মনসিংহে ডিবির অভিযানের পর বাসার সামনে থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার,পরে মৃত্যু দুই দিন ধরে বাড়িতে ঝুলছিল ইউপি চেয়ারম্যানের লা ময়মনসিংহে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

‘আপত্তিকর অবস্থায়’ ধরা পড়েছে বাকৃবির ছাত্রী-শিক্ষক

রিপোর্টারের নাম :
  • আপডেট সময়: রবিবার, ৫ মে, ২০২৪
  • সময় 8 months আগে
  • ১০৩ টাইম ভিউ

বআপত্তিকর অবস্থায়’ ধরা পড়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক শিক্ষক ও ছাত্রী তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীরা

শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম ও কৃষি অনুষদের অধ্যয়নরত শেখ রোজী জামাল হলের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ আটক করেন তারা।

পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষার্থীকে হলে নিয়ে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম। পরে ওই দিন রাত ১০টার দিকে পুরো ঘটনাটি স্বীকার করেছেন ওই ছাত্রী।

এ বিষয়ে তৎক্ষণাৎ ওই শিক্ষার্থীর হলে গেলে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি রোজী জামাল হলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

পরে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে অনৈতিক মেলামেশার বিষয়টি স্বীকার করেন ওই শিক্ষার্থী।

এ সময় প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার একটি স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন ওই শিক্ষার্থী।

স্বীকারোক্তিতে ওই শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে ড. মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হন ওই শিক্ষার্থী।

ভর্তির পরে ক্লাস শুরু হলে জানতে পারেন যে ওই শিক্ষক তাদের একটি ব্যবহারিক কোর্সের কোর্স শিক্ষক। মেসেঞ্জারে আলাপের মাধ্যমে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ওই শিক্ষক বিবাহিত এই বিষয়টিও জানতেন ওই শিক্ষার্থী। বিবাহিত হওয়ার পরেও ওই ছাত্রীর সঙ্গে নিজের গাড়িতে গাজীপুরের একটি রিসোর্ট, মুক্তাগাছাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন তিনি।

ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীকে নিয়ে আসার ব্যাপারে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

এ বিষয়ে সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পারলে আমি তৎক্ষণাৎ রোজী জামাল হলে চলে আসি।

ওই ছাত্রী ঘটনার ব্যাপারে নিজের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কোনোরকম তদন্তের আগে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তীতে সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে দুদিন আগে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় প্রায় ১০টি ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। এমতাবস্থায় তাকে হলে রাখা বিপজ্জনক বলে জানিয়েছেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রুখসানা আমিন রুনা।

ধরা খাওয়া ওই শিক্ষার্থীর অবিভাবকদের ডেকে তাদের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান হল প্রভোস্ট।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2024
Support : ESAITBD Software Lab Dhaka