আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বোলারদের বিরুদ্ধে ডুনেডিনে চলল কিউয়ি ওপেনারের তাণ্ডব। ৬২ বলে ১৩৭ রান করেন ফিন অ্যালেনের ব্যাটে বিশ্বরেকর্ড। টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে ছক্কার বিশ্বরেকর্ডও ছুঁয়ে ফেললেন অ্যালেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৬টি ছক্কা হাঁকান অ্যালেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড এত দিন ছিল আফগান তারকা হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের দখলে। আফগানিস্তানের এই ওপেনার ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
মেরেছিলেন ১৬টি ছক্কা। অ্যালেন মনে করালেন জাজাইকে। তাঁর ব্যাটিং তাণ্ডবে পাকিস্তান উড়ে গেল। কোনও পাক বোলারকেই রেয়াত করেননি অ্যালেন। মাঠের যত্রতত্র বোলারদের উড়িয়েছেন তিনি। শুরু থেকেই অন্য গিয়ারে ব্যাট করতে থাকেন অ্যালেন। ম্যাচ যত গড়াল, অ্যালেন ততই ভয়ংকর হয়ে ধরা দিলেন।
একগুচ্ছ রেকর্ড গড়লেন ফিন অ্যালেন। মনে করিয়ে দিলেন সেই আপ্তবাক্য, রেকর্ড গড়া হয় ভাঙার জন্যই। অ্যালেনের ১৩৭ রান আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসও বটে।
নিউজিল্যান্ডের এই ওপেনার ভাঙেন প্রাক্তন কিউয়ি তারকা ব্রেন্ডন ম্যাকালামের রেকর্ডও। ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫৮ বলে ১২৩ রান করেছিলেন ম্যাকালাম। ম্যাকালাম নিজেও ব্যাট হাতে ঝড় তুলতেন। সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে কিউয়ি ক্রিকেটে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এদিন ৪৮ বলে সেঞ্চুরি করেন অ্যালেন। কিউয়িদের হয়ে এটি তৃতীয় দ্রুততম। অ্যালেনের আগে গ্লেন ফিলিপস ৪৬ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তাঁর থেকে এক বল বেশি খেলে কলিন মুনরো সেঞ্চুরি করেছিলেন।
এদিন অ্যালেন সবচেয়ে বেশি নির্দয় ছিলেন পাক পেসার হ্যারিস রউফের উপরে। হ্যারিস রউফ বিতর্কে জড়িয়েছেন একাধিকবার। এদিন রউফ গতি দিয়ে কাঁটা তুলতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে। উলটে পালটা আক্রমণ শুরু করেন অ্যালেন।
অ্যালেনের ১৬টি ছক্কার মধ্যে হ্যারিস রউফকেই কিউয়ি তারকা মেরেছেন ৬টি ছয়। ষষ্ঠ ওভারে ৩টি ছক্কা মারেন অ্যালেন। ওই ওভারে মোট ২৮ রান দেন রউফ।
পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে সব আলোই কেড়ে নেন ফিন অ্যালেন। ম্যাচটা নিউজিল্যান্ড না জিতলে অ্যালেনের এই ইনিংস ন্যায়বিচার পেত না।
নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৭ উইকেটে ২২৪ রান। পাকিস্তান থেমে যায় ৭ উইকেটে ১৭৯ রানে। কিউয়িরা ম্যাচ জেতে ৪৫ রানে।