ময়মনসিংহে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ পালন উপলক্ষ্যে জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ এক যুগ পর ময়মনসিংহ প্রকাশ্যে মিছিল বের করলেন ইসলামী ছাত্রশিবির। ২০১০ সালের পর আর কোন প্রকাশ্যে মিছিল বের হয়নি।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা তিন টায় মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি শরীফুল ইসলাম খালিদের নেতৃত্বে নগরীর টাউন হল মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মহানগর জামায়াত শিবির ও ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক আহমেদ তাওফিক। তিনি বলেন, আবহমান কাল ধরে হিন্দু-মুসলিমসহ সকল ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে এদেশে বসবাস করে আসছে। তবে এই শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে দীর্ঘদিন ধরে।
বিশেষ করে গত ৫ আগস্ট সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করার অপচেষ্টা এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পুনর্বাসন করতে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন ধারাবাহিকভাবে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি সনাতন জাগরণ মঞ্চ তথা ইসকনের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদের ইসকন সন্ত্রাসীরা আজ চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। শুধু তাই নয়, তারা আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থিত মসজিদেও হামলা চালিয়ে দেশের ধর্মীয় সহাবস্থান ও সহমর্মিতার পরিবেশকে চরমভাবে আঘাত করেছে। আমরা এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী শিক্ষা সম্পাদক মোঃ সালাহউদ্দিন ময়মনসিংহ মহানগর সভাপতি শরীফুল ইসলাম খালিদ, সেক্রেটারি ফাউজান আব্দুর রহমান, জেলা সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবীর,
সেক্রেটারি ইমদাদুল হক, বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফখরুল ইসলাম,সেক্রেটারি আবু নাসের সহ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা ও মহানগর শিবিরের অন্যান্য দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।