Logo
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
Title :
ময়মনসিংহে এক যুগপর ইসলামী ছাত্রশিবিবের বিক্ষোভ মিছিল ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের সাথে আশা’র মতবিনিময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটি গঠন নিয়ে সভা শেষে মারামারি, থানায় অভিযোগ ময়মনসিংহে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ৬০ শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত ময়মনসিংহে গারো সম্প্রদায়ের ‘খ্রীষ্টরাজ ওয়ানগালা রাজোৎসব’ উদযাপিত গোটা কুরআন আমাদের কর্মসূচি এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না- অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ময়মনসিংহে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড ময়মনসিংহে ডিবির অভিযানের পর বাসার সামনে থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার,পরে মৃত্যু দুই দিন ধরে বাড়িতে ঝুলছিল ইউপি চেয়ারম্যানের লা ময়মনসিংহে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও ছেলেকে

রিপোর্টারের নাম :
  • আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • সময় 10 months আগে
  • ৯৬ টাইম ভিউ

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহীতে মো. আরিফ (২২) নামে এক তরুণকে মারধর ও তাদের বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার মা-বাবা।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

হামলায় আহত মো. আরিফ রিপন আলী বাবু ও পান্না বেগম দম্পতির সন্তান। তিনি আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার মাথায় গুরুত্বর জখম রয়েছে। তাদের বাড়ি নগরীর আসাম কলোনি এলাকায়।

সংবাদ সম্মেলনে আরিফের বাবা রিপন আলী বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে নগরীর শালবাগান এলাকায় পেট্রল পাম্প থেকে মোটরসাইকেলে তেল নিয়ে রাস্তায় উঠছিল। এ সময় নগরীর রবের মোড় বৌবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. বাবলু (৫০) মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন।

আরিফ মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় ওঠার সময় হর্ণ দেয়। কিন্তু তা না শুনে হেঁটেই যাচ্ছিলেন বাবলু। তখন মোটরসাইকেলে থাকা আরিফের হাতের সঙ্গে বাবলুর হাতের ধাক্কা লাগে।

এ সময় বাবলু ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফকে সেখানেই বেধড়ক মারধর শুরু করে। পরে স্থানীয় লোকজন আরিফকে রক্ষা করেন এবং বাবলুকে পাঠিয়ে দেন।

এই ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর আরিফের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন আরিফ ও তার মা পান্না বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে পান্না বেগম জানান, বাবলুর ছেলে তানভীর একটি কিশোর গ্যাংয়ের নেতা। এই কিশোর গ্যাংয়ের ২৫-৩০ জনকে নিয়ে এসে বাবলু তার বাড়িতে হামলা চালান। তারা বাড়ি গিয়েই আরিফকে মারধর শুরু করেন বাবলু ও তার ছেলে তানভীর।

ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে পান্না বেগমকে লাথি দিয়ে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়। আরিফকে মারধরের সময় মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তি যান। তখন সুযোগ পেয়ে আরিফ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এই কারণে হামলাকারীরা মোহাম্মদ আলীকেও মারধর করে।

এরপর হামলাকারীরা বাড়ির সঙ্গেই থাকা আরিফের বাবার ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে ভাঙচুর চালায়। দোকানে সার্ভিসিংয়ের জন্য আসা সাতটি টেলিভিশন ভেঙে ফেলে তারা।

এরপর আরিফ ও তার মা পান্না বেগমকে খুঁজতে তারা প্রতিবেশিদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালায়। না পেয়ে তারা চলে যায়। পরে সেদিনই মামলা করতে ছেলে আরিফকে নিয়ে চন্দ্রিমা থানায় যান পান্না বেগম। সেখানে দেখেন, বাবলুই আগে থেকে থানায় বসে আছেন।

পান্না বেগম তার ছেলের রক্তাক্ত মাথা দেখিয়ে পুলিশকে জানান, এই বাবলুই তার বাহিনী নিয়ে হামলা করে তার ছেলেকে আহত করেছেন। তিনি বাবলুকে আটক করার অনুরোধ জানান। কিন্তু পুলিশ বাবলুকে আটক করেনি।

ছেলেকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে পান্নাকে থানা থেকে চলে যেতে বলেন। পরে পান্না তার ছেলেকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। পরে শুনেছেন, বাবলুই উল্টো চন্দ্রিমা থানায় আরিফের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এরপর ছেলেকে হাসপাতালে রেখে এসে পান্না বেগম বাবলু, তার ছেলে তানভীর, তানভীরের বন্ধু রাকিব, তারেক ওরফে তারা, মিলন, নিলয় ও অমরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কিন্তু পুলিশ এ পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি।

তদন্তের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে পান্না বেগম কিংবা তার স্বামী রিপন আলীর সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। সংবাদ সম্মেলন থেকে পান্না বেগম হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, ‘মারামারির একটা ঘটনা ঘটেছে। উভয়পক্ষ থানায় মামলা করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এখন মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তেই সবকিছু বোঝা যাবে।’

আ হো শি/রা হি

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2024
Support : ESAITBD Software Lab Dhaka