পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের হাতাহাতি
রিপোর্টারের নাম :
-
আপডেট সময়:
সোমবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৪
সময় 11 months আগে
-
১৬৪
টাইম ভিউ
নেত্রকোনায় সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে ঘন ঘন মামলা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ সিএনজি চালকরা সড়ক অবরোধ করেছেন। সোমবার (২২ জানুয়ারি) শহরের কুরপাড় পেট্রল পাম্পের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সড়কের অবরোধ তুলে নিতে বললে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
নেত্রকোনা জেলার অটোটেম্পো, অটোরিকশা ও সিএনজিচালক শ্রমিক ইউনিয়নের চালকরা অভিযোগ করে বলেন, জেলার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল দাস দায়িত্বে আসার পর থেকেই ট্রাফিক পুলিশ জেলা শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে গাড়ি থামিয়ে নানা অজুহাতে একই গাড়ির বিরুদ্ধে মাসে ৩-৪ বার মামলা দিচ্ছেন। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে সিএনজিচালকরা পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন চালাতে যেখানে হিমশিম খাচ্ছেন, সেখানে আবার মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
কয়েকজন শ্রমিক নেতা বলেন, ট্রাফিক পুলিশ মামলা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, অনেক সময় তারা শ্রমিকদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, বাবা-মাকে তুলেও গালিগালাজ করে।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে কুড়পাড়স্থ সিএনজি স্ট্যান্ডে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশ আকবর হোসেন মামলা দিলে শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। এ সময় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল রঞ্জন দাসের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন অটোটেম্পো, অটোরিকশা ও সিএনজিচালকরা।
কুড়পাড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের এএসআই আকবর হোসেন জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা সোমবার কুড়পাড় এলাকায় তিনটি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেই। এ সময় শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুইটি গাড়ি জোর করে ছাড়িয়ে নেন। আমরা তাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান জানালে শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের সঙ্গে হাতাহাতি করেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে জেলা অটোটেম্পো, অটোরিকশা ও সিএনজিচালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল শেখ বিল্লাল জানান, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি, আমরা পুলিশ-শ্রমিক ভাই ভাই, সবসময় মিলেমিশে থাকতে চাই।
নেত্রকোনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন শেখ বলেন, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার করার অভিযোগ রয়েছে। শ্রমিকদের দাবি টিআইকে প্রত্যাহার করা। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলা হবে। আর কোনো নিরপরাধ শ্রমিক যেন মামলার হয়রানির শিকার না হন সেই ব্যাপারে কথা বলা হবে।
শ্রমিকদের হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল রঞ্জন দাসের মোবাইল ফোনে কল করে রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শিবলী সাদিক কথা বলতে রাজি হননি। তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ লুৎফর রহমান বলেন, পুলিশের সঙ্গে সিএনজি শ্রমিকদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে উদ্ভূত পরিস্থিতি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পরে তারা সড়ক অবরোধ তুলে নেন।
তবে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতির ঘটনা ঘটলেও কোনো মামলা করা হয়নি।
আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন
এই বিভাগের আরো খবর