জনসম্পৃক্ততাই জনপ্রিয় করে তুলেছে মেয়র টিটুকে
রিপোর্টারের নাম :
-
আপডেট সময়:
সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
সময় 11 months আগে
-
১৪০
টাইম ভিউ
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নগরজুড়ে পোস্টার সাঁটানোর মাধ্যমে প্রার্থিতার জানান দিচ্ছেন সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। মেয়র পদে বেশ কয়েকজন আলোচনায় আসলেও বর্তমান মেয়র ইকরামুল হক টিটুকেই সবচেয়ে বেশি হেভিওয়েট হিসেবে মানছেন সবাই।
বিগত সময়ে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও সাধারণ মানুষ কোন প্রকার দালাল ছাড়াই মেয়রের সাথে দেখা করতে পারা এবং জনম্পৃক্ততার কারণে নগরবাসী কাছে এতো জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।
যিনি নিজের কথা না ভেবে নগরবাসীর কথা ভাবেন তিনি দ্বিতীয়বারের মতো মসিক নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে মেয়র নির্বাচিত হবেন বলে মনে করেন ভোটাররা। দ্বিতীয়বারের মতো মসিক মেয়র নির্বাচিত হয়ে নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করবেন। এমন প্রত্যাশা করেন নগরবাসী।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ সাইদ বাংলাদেশ প্রতিদিন খবরকে বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো মসিক নির্বাচনে আমরা আবারও বর্তমান মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটুকে দেখতে পারব।
আমরা যখন তখন দালাল ছাড়ায় মেয়রের সাথে দেখা করে কথা বলতে পারি, কাজের সমাধান করতে পারি রাস্তাঘাটে হাটে বাজারে যে কোন প্রোগ্রামে আমাদের কাজের সমাধান করতে পারি আমরা এমন মেয়র চাই। এই নগরে ইকরামুল হক টিটুর বিকল্প নেই।
দ্বিতীয়বারের মতো মসিক নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু। বাংলাদেশ প্রতিদিন খবরকে দেওয়া স্বাক্ষাৎকারে নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে বিগত সময়ে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও আগামীর নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেন, আমি সার্বক্ষণিকভাবে নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে কাজ করেছি।
মেয়র হিসেবে নগরবাসীর সকল সেবা সুনিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য মেনেই কাজ করেছি। একটি দিনের জন্যও নগরবাসী থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার কথা চিন্তা করিনি।
প্রতিনিয়তই আমি নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রশাসনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সেবাগুলো সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
এছাড়া একজন জনপ্রতিনিধির বড় দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকা। নগরের উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক ও ধর্মীয়সহ যে কোনো প্রয়োজনে আমি নগরবাসীর পাশে থেকে তাদের প্রত্যাশাগুলো পূরণ করার চেষ্টা করেছি।
নগরীর আগের চিত্র স্মরণ করিয়ে দিয়ে মেয়র বলেন, আগে ময়মনসিংহ শহরের মোড়ে মোড়ে ময়লা আবর্জনার দীর্ঘ স্তূপ দেখা যেত। আমরা দায়িত্বে আসার পর আজকে কিন্তু সেই আর রূপ নেই। আগে একটু বৃষ্টি হলেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় দুই-তিন দিন পানি জমে থাকত।
আজ অনেকাংশেই সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। তবে কিছু অংশে এখনো সমস্যা রয়েছে। সেগুলো সমাধান করার জন্য আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।
করোনা ও বৈশ্বিক সংকটের কারণে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, পাঁচ বছরে আসলে সকল কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তবে ময়মনসিংহ নগরীকে একটি সমৃদ্ধ নগর করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম।
কিন্তু এই সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক দুটি সংকট আমাদের কার্যক্রমকে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্টি হওয়া অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আমরা তেমনভাবে আমাদের কাজগুলো করতে পারিনি।
আমরা যদি স্বাভাবিক গতিতে কাজ করতে পারতাম তাহলে আমাদের এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে আরও বহুদূর আমরা এগিয়ে যেতে পারতাম। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অনেক কাজই গুছিয়ে এনেছি।
এরই মধ্যে ৩৫৮ কিলোমিটার সড়ক ও ২৪৯ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করেছি। পাশাপশি নগরকে আলোকিত ১৭১ কিলোমিটার সড়কে স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক এলইডি সড়কবাতি। জলাবদ্ধতা নিরসনে অব্যাহত অভিযানে ১৬ কিলোমিটার খাল ইতোমধ্যে দখলমুক্ত করা হয়েছে।
ইকরামুল হক টিটু বলেন, আমরা প্রান্তিক ও দরিদ্র গোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে একটি নগর মাতৃসদন ও তিনটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র করেছি। যেখানে প্রায় আড়াই হাজার দরিদ্র মানুষ বিনামূল্যে সেবা পাচ্ছে। প্রতিদিন চার শতাধিক মা ও শিশু কম খরচে স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন।
এছাড়া অনেক কাজই নগরজুড়ে চলমান রয়েছে। আমরা যে বরাদ্দ পেয়েছি তার মাঝে প্রায় ২০ ভাগ কাজ করতে পেরেছি। বাকি কাজ সম্পন্ন হলে নগরটি বিশালভাবে পরিবর্তিত হবে।
যানজট সমস্যার ব্যাপারে ইকরামুল হক টিটু বলেন, সিটি হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে লোকজন নগরের দিকে আসছেন। এই জনগণের চাপকে সামাল দিতে বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক-অযান্ত্রিক যানবাহন এই নগরে বেড়েছে।
তবে আমরা সেই পুরোনো বিলুপ্ত পৌরসভার সময়কার যে লাইসেন্স ছিল এখন পর্যন্ত আমরা গত কয়েক বছরে তা থেকে কমিয়ে নিয়ে আসছি। তার সাথে আমরা একটি বিকল্প ব্যবস্থা করে যানবাহন শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করছি।
নগরবাসী আমার পাশে থাকলে আগামীতে আমরা যানজট সমস্যার সমাধান করতে পারব।
তিনি বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা নিরসন, স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত করার বিভিন্ন পদক্ষেপ ইতোমধ্যে আমরা হাতে নিয়েছি। নগরীতে একটি শিশু পার্ক করার প্রস্তাব অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এছাড়া বাস ও ট্রাক টার্মিনাল, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, আলোকিত নগর, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতা উন্নয়ন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করার বিষয়ে আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ রয়েছে।
এগুলো অনেকাংশে আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। অনেক কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা যে পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি সেগুলোর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করতে পারলে নগরীর চিত্রই পাল্টে যাবে।
নগরবাসী আবারও সেবা করার সুযোগ দেবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মসিকের এই প্রথম মেয়র বলেন, দীর্ঘদিন নাগরিকবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে সামাজিক প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করেছি।
সেই দাবি নিয়েই আবারও প্রার্থী হচ্ছি। নিশ্চয়ই আমার দীর্ঘদিনের কর্মের মূল্যায়ন নগরবাসী করবেন এবং আগামী দিনে আমাকে আবারও সেবা কাজ করার সুযোগ দেবেন।
দেলোয়ার হোসেন/এএএ
আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন
এই বিভাগের আরো খবর