প্রতিদিন ডেস্ক :
ইরানের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানির কবরের কাছে বুধবার দুটি বোমা বিস্ফোরণে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
কাসেম সোলেমানি ইরান সাম্রাজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। তার নেতৃত্বাধীন কুদস ফোর্স সরাসরি দেশটির সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির প্রতি অনুগত। সোলেমানিকে জাতীয় বীর বলে মানে ইরানিরা।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। বুধবার ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, কাশেম সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শত শত মানুষ তার সমাধিস্থলের দিকে যাওয়ার সময় জোড়া বিস্ফোরণ ঘটেছে।
১৯৫৭ সালে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরমান শহরের উপকণ্ঠে জন্মগ্রহণ করেন কাসেম সোলেমানি। ১৯৭৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইরানে ইসলামি বিপ্লবের বিজয়ের পর আইআরজিসিতে যোগ দেন তিনি।
১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইরান-ইরাক যুদ্ধে জেনারেল সোলাইমানি কেরমানের ৪১ ‘সারুল্লাহ’ ডিভিশনের নেতৃত্ব দেন। ওই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তিনি ইরানের পূর্ব সীমান্তে মাদক চোরাচালান ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৭ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তাকে আইআরজিসির কুদস (পবিত্র) বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেন। সেসময় ইরানের পূর্ব সীমান্তে তালেবান যে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল তার অবসান ঘটাতে সক্ষম হন তিনি।
২০১১ সালের ২৪ জানুয়ারি মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন কাসেম সোলেমানি। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বাশার আল-আসাদের ইরান সমর্থিত সরকারকে সহযোগিতা ও ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
জেনারেল কাসেম সোলেমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় আমেরিকার ওপর ‘তীব্র প্রতিশোধ’ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেন, সোলাইমানি শহীদ হলেও তার কাজ বন্ধ থাকবে না।