প্রতিদিন ডেস্ক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) ও ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) এই দুটি আসন থেকে একটিতে জিততে পারেনি জাতীয় পার্টি (জাপা)। এই দুইটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
জাতীয় পার্টির পরাজিত প্রার্থীরা হলো- ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনের সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি ও ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) ফখরুল ইমাম।
ময়মনসিংহ-৫ আসনে মোট ১০৪টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম ট্রাক প্রতীকে ৫২ হাজার ৭৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্ধী সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১৬৮ ভোট।
অন্যদিকে, ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে মোট ৯২টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে মাহমুদ হাসান সুমন ঈগল প্রতীকে ৫৬ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্ধী ফখরুল ইমাম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯৮৪ ভোট।
মুক্তাগাছায় আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতকর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত। নির্বাচনে বীর আব্দুল হাই আকন্দ আওয়ামীলীগ মনোনীত হয়ে দলীয় সিদ্ধান্তে লাঙ্গলকে আসনটি ছেড়ে দেয়।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকার অপর অংশের সাথে আলোচনা না করেই হুট করে লাঙ্গলের প্রার্থীকে সমর্থন দেয়। ফুঁসে উঠে আব্দুল হাই আকন্দের অনুসারীরা এবং কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম প্রার্থী হওয়ায় তারা তাকে সমর্থন জানায়।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাদী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা নির্বাচনের মাঠে উপস্থিত হয়নি। আওয়ামী লীগ নেতারা প্রকাশ্যে মঞ্চে স্বতন্ত্র প্রার্থী সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে প্রভাব পাড়ায় ভোটের মাঠে এই ভরা ডুবি হয়েছে।
এই রিপোর্টের বিষয়ে ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফখরুল ইমামের সাথে যোগযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তির বলেন, মুক্তাগাছার জনগণ আমাকে প্রচুর ভোট দিয়েছে আমি জনগনের কাছে খুবই খুশি। উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃণমূলের ও ত্যাগী নেতকর্মীরা ঐক্য করতে পারিনি এটা আমাদের ব্যর্থতা।