বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে মসিকের নামে অপপ্রচার,পোস্টার সাঁটিয়ে গ্রেপ্তার ৩
রিপোর্টারের নাম :
-
আপডেট সময়:
বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
সময় 11 months আগে
-
৮৬
টাইম ভিউ
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) বিগত সময়ের নানান উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে সাটানো পোস্টার ঢেকে উপরে বিদ্রুপাত্মক নানা অপপ্রচারমূলক পোস্টার সাঁটাতে গিয়ে হাতেনাতে আটক করা হয় তিন যুবককে। বিভিন্ন বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে সিটি করপোরেশনের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
গ্রেফতার কৃতরা হলেন- মো: শরীফ, মো: ইমন মিয়া ও মো: রায়হান। নগরীতে পোস্টার-প্যানা সাঁটানোর কাজ করে বলে জানায় তারা।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এসব পোস্টার সাঁটানোর সময় তিনজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে বিকেলে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফশিল ঘোষণার পর থেকে শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী আমেজ। নগরীতে বিগত সময়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরে পোস্টার সাঁটিয়েছে সিটি করপোরেশন।
তবে গত দুই দিন ধরে সিটি করপোরেশনের সাঁটানো পোস্টার ঢেকে তার উপর বিদ্রুপাত্মক ও অপপ্রচারমূলক পোস্টার সাটাতে শুরু করে দুর্বৃত্তরা।
তবে কারা এমনটি করছে তা শনাক্তে সিটি মেয়রের কর্মীরা মাঠে নামে। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত তারা বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেয়।
ভোর ৪ টার দিকে নগরীর ভাটিকাশর আলিয়া মাদ্রাসা রোড এলাকায় সিটি করপোরেশনের উন্নয়নমূলক পোস্টারের উপর সাঁটানো হচ্ছিল ওইসব বিদ্রূপাত্মক পোস্টার।
এসময় হাতেনাতে আটক করা হয় তিন যুবককে। তারা হলেন- মো. শরীফ, ইমন মিয়া ও মো. রায়হান। নগরীতে পোস্টার-প্যানা সাঁটানোর কাজ করে বলে জানায় তারা।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিন খবরকে বলেন,পোস্টার সাঁটানোর সময় আটক হওয়া তিনজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বাংলাদেশ প্রতিদিন খবরকে বলেন, যে তথ্য সম্বলিত ভুয়া পোস্টার সাঁটানো হয়েছে এটি সম্পূর্ণ অপপ্রচার।
বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে সিটি করপোরেশনকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই অপপ্রচার করা হচ্ছে। যা আদৌ সত্য নয়। কোনো ঠিকানা বা কারো নাম ব্যবহার না করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পোস্টার সাটাচ্ছে এবং সেই পোস্টারে তারা সিটি করপোরেশনের লোগোও তারা ব্যবহার করছে যা সম্পূর্ণ বেআইনী ও অপরাধ।
আশাকরি প্রশাসন এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে। পাশাপাশি যেহেতু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এই বিচার বিশ্লেষণের দায়ভার আমি সম্মানীত নগরবাসীর ওপরই ছেড়ে দিলাম। আমার বিশ্বাস তারা এসব দেখে সঠিক সিদ্ধান্তই নেবেন।
মেয়র টিটুর জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচারে নেমেছে বলে মনে করেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক শাহীনূর রহমান। তিনি বলেন, সব শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে মেয়র ইকরামুল হক টিটু এক আস্থার নাম। উন্নয়ন ও জনসম্পৃক্ততা তাকে এতটাই জনপ্রিয় করেছে।
এতে ভীত হয়ে একটি গোষ্ঠী নানা অপপ্রচারে নেমেছে। কিন্তু ওই গোষ্ঠী যতই কিছুই করুক না কেন আসন্ন নির্বাচনে এই নগরবাসী বিভ্রান্ত না হয়ে মেয়র হিসেবে জনতার সেবক ইকরামুল হক টিটুকেই বেছে নেবে।
আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন
এই বিভাগের আরো খবর